IQNA

'পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলেছে সেনারা'

21:50 - October 22, 2017
সংবাদ: 2604137
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে গেলো ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী নতুন করে অভিযান শুরুর পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ বলছে, সেখানে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। বাংলাদেশে সাময়িকভাবে অমানবিক অবস্থায় বসবাস করছে সম্প্রতি আসা পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানেও বসবাস করছে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।
'পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলেছে সেনারা'বার্তা সংস্থা ইকনা: এমনই একজন রোহিঙ্গা আব্দুল জব্বার আমানুল্লাহ। তিনি ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে বসবাস করছেন। মিয়ানমার ছেড়ে চলে এলেও তিনি নিয়মিতই যোগাযোগ রেখে যাচ্ছিলেন তার পরিবারের সঙ্গে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকা।

আব্দুল জব্বার বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন অনেক খারাপ। সেনাবাহিনী আমাদের পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলেছে। তাই সেখানে থাকা আমার পরিবার নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না। আমার গ্রামের বাড়িঘর সব পুড়ে গেছে। তবে কেউ জানে না কে আগুন লাগিয়েছে। আব্দুল জব্বারের সন্দেহ দেশটির সেনাবাহিনী এ কাজ করেছে। কিন্তু সত্য যাচাই করাটাও এখন কঠিন। কারণ সেখানে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শরণার্থী শিবিরের সবার অবস্থাই মোটামুটি এক রকম। সেনাবাহিনী গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের উপর গুলি ছুঁড়ছে। ১২ বছরের বেশি নারীদের অপহরণ ও নির্যাতন করা হচ্ছে।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের অবস্থা ঘুরে দেখেছেন ডা. ইমরান আকবর। ডা. ইমরান বলেন, তিনি মাইলের পর মাইল লাইনে দাঁড়িয়ে একটু খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে দেখেছেন ক্ষুধার্ত রোহিঙ্গাদের। সেইসব ছবি ও ভিডিও মার্কিন আইনজীবীদের দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ের চেষ্টাও করছেন তিনি। তিনি কথা বলেছেন শিকাগোর সিনেটর ডিক ডারবিনের সঙ্গে। ডেমোক্রেটিক দলের এই সিনেটর চান মিয়ানমারে যত দ্রুত সম্ভব সেনা অভিযান বন্ধ হোক।

রোহিঙ্গা যেসব এলাকায় বসবাস করে সেখানে তাদের প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য অবিলম্বে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের যেতে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আব্দুল জব্বার জানান তার কাছে পরিবার থেকে আর কোনো খবর আসছে না। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আগের মতোই তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মানুষ মারছে, গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে।

সিনেটর ডারবিন এ বিষয়গুলো কংগ্রেসে ‍উত্থাপন করবেন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তার ধারণা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার মধ্য দিয়েই সেখানে সৃষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের সমাপ্তি ঘটবে। এমটিনিউজ
captcha