বার্তা সংস্থা ইকনা: বাংলাদেশের শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলছেন তারা প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, তবে প্রকৃত প্রত্যাবাসন শুরু হতে আরও সময় লাগবে।
তিনি বলছেন, ‘আমরা যদি প্রত্যাবাসন কে একটি প্রক্রিয়া হিসেবে দেখি তাহলে একে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হলো ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা যে, কোন নীতির ভিত্তিতে প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হবে, দ্বিতীয় হলো কাঠামোগত প্রস্তুতি ও তৃতীয় হলও শারীরিক বা মাঠ পর্যায়ে প্রকৃত প্রত্যাবাসন শুরু করা’।
তার মতে তারা প্রথম ধাপটি অতিক্রম করেছেন। কারণ একটি ফ্রেমওয়ার্ক হয়েছে এবং ১৯শে ডিসেম্বর জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি হয়েছে। এরপর চলতি মাসে নেপিদোতে এ কমিটির বৈঠকে প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত চুক্তিও সাক্ষরিত হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ বলছেন, ‘এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছি। যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ দরকার প্রত্যাবাসনের জন্য সেটি হাতে নিয়েছি। এটা হয়ে গেলে প্রকৃত প্রত্যাবাসনের কাজে হাত দেয়া যাবে বলে আশা করছি’।
মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের কোন তালিকা দেয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোন কোন গণমাধ্যমে লেখা হয়েছে যে এক লাখের তালিকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এটি আসলে এক লাখের বিষয় নয়। মিয়ানমারের অভিবাসী সবাই প্রত্যাবাসনের তালিকায় আসবে, যা প্রায় সাত লাখ ৬০ হাজার।
তিনি বলেন, ‘আমরা তালিকা তৈরির কাজ করছি। এটি হবে পরিবার ও গ্রাম ভিত্তিক। আমরা এখনো মিয়ানমারকে কোন তালিকা দেয়নি। যেভাবে দিতে হবে সেভাবে তালিকা তৈরির কাজ চলছে’।
মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ২৫শে আগস্ট নতুন করে সহিংসতার পর থেকে অনেক নিহত হয়েছেন। চরমপন্থি বৌদ্ধদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সাড়ে সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা মুসলমান আশ্রয় নিয়েছে।
iqna