IQNA

কেন ইমাম হুসাইনকে হেদায়েতের আলো এবং মুক্তির তরী বলা হয়?

0:47 - April 27, 2018
সংবাদ: 2605614
চতুর্থ হিজরির তৃতীয় শা’বান মানবজাতি ও বিশেষ করে, ইসলামের ইতিহাসের এক অনন্য ও অফুরন্ত খুশির দিন। কারণ, এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র প্রাণপ্রিয় দ্বিতীয় নাতি তথা বেহেশতী নারীদের নেত্রী হযরত ফাতিমা (সা.) ও বিশ্বাসীদের নেতা তথা আমীরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)’র সুযোগ্য দ্বিতীয় পুত্র এবং ইসলামের চরম দুর্দিনের ত্রাণকর্তা ও শহীদদের নেতা হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)।



বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহানবী(সা.) বলেছেন, مِصباحُ الهدی و سَفینَةُ النّجاةِ নিশ্চয় হুসাইন হেদায়েতের আলোকবর্তিকা এবং নাজাতের তরণী।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর প্রাণপ্রিয় নাতী হযরত হাসান ও হুসাইন (আ.)-কে নিজের সন্তান বলে অভিহিত করতেন। এ ছাড়াও তিনি বলেছেন, "নিশ্চয়ই হাসান ও হুসাইন জান্নাতে যুবকদের সর্দার।" (জামে আত-তিরমিজি, হাদিস নং-৩৭২০)

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ও ইমাম হুসাইনের মধ্যে আধ্যাত্মিকও খোদায়ী সম্পর্কের সর্বোচ্চ বর্ণনা ও সবচেয়ে আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে মহানবীর এই হাদিসে: হুসাইন আমা থেকে এবং আমি হুসাইন থেকে।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, যে-ই চায় আকাশগুলোর বাসিন্দা ও পৃথিবীর বাসিন্দাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিকে দেখতে, তাহলে তার উচিত হুসাইনের দিকে তাকানো। (মিজান আল হিকমাহ, হাদীস নং ৪৩২)

বারাআ ইবনে আযিব বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দেখেছি ইমাম হুসাইন (আ.)-কে বহন করছেন এবং বলছেন, হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি তাকে ভালবাসি, তাই আপনিও তাকে ভালবাসুন। (মিজান আল হিকমাহ, হাদীস-৪২৯; বুখারি, হাদিস-২১৫০; মুসলিম, হাদিস-৬০৭৭)

ইমাম হুসাইন (আ.)'র চারিত্রিক গুণাবলীর পূর্ণতা ও সার্বিকতা প্রসঙ্গে মিশরিয় চিন্তাবিদ আবদুল্লাহ আলায়েলি বলেছেন, "ইমাম হুসাইন (আ.)'র মহত্ত্ব ও মর্যাদা এক বিশাল জগত জুড়ে ঘিরে আছে যার নানা দিক এতই ব্যাপক ও অশেষ যে এর প্রতিটি দিকই ইতিহাসে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। তাই মনে হয়, তিনিই সব উচ্চ মর্যাদা ও শীর্ষস্থানের সমষ্টি।

হযরত ইমাম হুসাইন বিন আলী (আ.) ছয় বছরেরও কিছু বেশি সময় পর্যন্ত নানা বিশ্বনবী (সা.)'র সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। হযরত সালমান ফারসি (রা.) বলেছেন, একদিন দেখলাম যে, রাসূল (সা.) হুসাইন (আ.)-কে নিজের জানুর ওপর বসালেন ও তাঁকে চুমু দিলেন এবং বললেন,

তুমি এক মহান ব্যক্তি ও মহান ব্যক্তির সন্তান এবং মহান ব্যক্তিদের পিতা। তুমি নিজে ইমাম ও ইমামের পুত্র এবং ইমামদের পিতা। তুমি আল্লাহর দলিল বা হুজ্জাত ও আল্লাহর হুজ্জাতের পুত্র এবং আল্লাহর নয় হুজ্জাতের (বা নয় ইমামের) পিতা, আর তাঁদের সর্বশেষজন হলেন হযরত ইমাম মাহদী (আ.)।

captcha