বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আমরা ইমাম মাহদীর (আ.) প্রতীক্ষার স্বরূপ ও তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এবং প্রতীক্ষার বিভিন্ন দিক ও তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যা বলেছি তা থেকে বোঝা যায় ইমাম মাহদীর (আ.) প্রতীক্ষা মানুষকে নিথর তো করেই না বরং মানুষের মনে চঞ্চলতা ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করে থাকে।
প্রতীক্ষা, প্রতীক্ষাকারীর মধ্যে পবিত্র ও কল্যাণময় চাঞ্চল্য ও উদ্দেশ্য মণ্ডিত উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এবং প্রতীক্ষাকারী যত বেশী প্রতীক্ষার হকিকতের নিকটবর্তী হবে প্রকৃত উদ্দেশ্যের দিকে ততবেশী ধাবিত হবে। প্রতীক্ষার ছত্রছায়ায় মানুষ আত্মকেন্দ্রিকতার গণ্ডি থেকে মুক্ত হয়ে নিজেকে ইসলামী সমাজের একটা অংশ মনে করে।
সুতরাং সমাজকে তার সাধ্য অনুযায়ী সংশোধনের চেষ্টা করে। সমাজ যখন এমন ধরনের যোগ্য ব্যক্তিত্ব দ্বারা গঠিত হয় তখন তা ফযিলত বিস্তারের চেষ্টা করে। তখন সকলেই ভালকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অগ্রসর হয়। এমন পরিবেশেই সমাজে বসবাসরত মানুষের মধ্যে ধর্ম ও মাহদীবাদের প্রতি বিশ্বাস বেড়ে যায়।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) যখন সালমান ফার্সিকে ইমাম মাহদীর সময়ে রাজয়াতের সুসংবাদ দেন তখন তিনি আনন্দে ক্রন্দন করে বললেন: فَقُمتُ بَینَ یَدی رَسولِ الله و ما یُبالی سلمانِ مَتَی المَوتَ او لَقیه» এ কথা শোনার পর যখন আমি রাসূল(সা.)-এর কাছ থেকে বের হয়ে এলাম তার পর থেকে আমি কবে মারা যাব সে বিষয়ে আমার আর কোন চিন্তা ছিল না।