বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হাদিস শরীফে এই সময়ে ইমাম মাহদীর(আ.) বসবাসের স্থান হিসাবে সঠিকভাবে কিছু বলা হয় নি। তবে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: এসময়ে তিনি ইরাক এবং মদিনায় বসবাস করতেন।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: আমাদের কায়েমের জন্য দুটি অন্তর্ধান রয়েছে। একটি হচ্ছে স্বল্প মেয়াদী আর অপরটি হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী । স্বল্প মেয়াদি অন্তর্ধানের সময়ে শুধুমাত্র বিশেষ শিয়ারা তার বাসস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর দীর্ঘ মেয়াদী অন্তর্ধানের সময় তার বিশেষ বন্ধুরা তার বসবাসের স্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন।
স্বল্প মেয়াদী অন্তর্ধানের সময় ইমামের যে চারজন নায়েব ছিলেন তারা সবাই ইরাকে বসবাস করতেন। ইমাম তাদেরকে অনেক চিরকুটও দিয়েছেন। সুতরাং বোঝা যায় যে, ইমাম ঐ সময়ে একটি বড় সময় ইরাকে অতিবাহিত করেছেন।
কিছু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম মাহদী(আ.) তার অনেকটা সময় মদিনায় পার করেছেন। তবে সেখানে বলা হয় নি যে তা স্বল্প মেয়াদী অন্তর্ধানের সময় নাকি দীর্ঘ মেয়াদী অন্তর্ধানের সময়।
ইমাম বাকির(আ.) বলেছেন: অন্তর্ধানের সময়ে ইমাম মাহদী (আ.) মদিনায় থাকবেন। এই সব হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে তিনি মদিনা এবং ইরাক (সামাররাহ) উভয় জাগাতেই বসবাস করেন।
কিছু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে ইমাম মাহদী(আ.) যি ওবাতে বসবাস করেন। যি তুবা হচ্ছে মক্কার এক ফারসাখ দূরে এবং হারামের এরিয়ার মধ্যে।
ইমাম হাদি(আ.) এবং ইমাম হাসান আসকারির(আ.) বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডে একটি শীতল স্থান ছিল যেখানে বসে ইমামগণ ইবাদত-বন্দেগী করতেন। ইমাম মাহদী(আ.) তার জীবনের একটি বড় সময় এই সারদাব তথা আন্ডারগ্রাউন্ডের শীতল স্থানে অতিবাহিত করেছেন। ইমাম আসকারীর শাহাদাতের পর শিয়ারা ঐ স্থানেও যিয়ারতের জন্য যেতেন। কেননা স্থানটি ছিল অতি পবিত্র একটি ইবাদতের স্থান।
তবে আরও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম মাহদী(আ.) আমাদের মাঝেই বসবাস করেন। তিনি বাজারেও যান মসজিদেও যান কিন্তু আমরা তাকে চিনতে পারি না। শাবিস্তান