বার্তা সংস্থা ইকনা: আইআরজিসি'র মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামাজান শরিফ বলেছেন, 'আল-আহওয়াজিয়া' নামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। সৌদি আরবের সমর্থনপুষ্ট এই গোষ্ঠীটি এরইমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
ইরানের সামরিক বাহিনীর প্যারেডের প্রভাব ও গুরুত্ব ম্লান করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা প্যারেড প্রাঙ্গনে ঢুকতে না পেরে দূর থেকে গুলি চালায়। এর ফলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের জন্য স্থাপিত মঞ্চ লক্ষ্য করেও তারা গুলি চালিয়েছে।
ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এরইমধ্যে দুই সন্ত্রাসীকে হত্যা ও একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া, ইরাক ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় তেহরানের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে মস্কো প্রস্তুত রয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানিকে লেখা এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, আহওয়াজের ঘটনার মধ্যদিয়ে আবারও কঠোরভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়েছে।
ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাসিম আল আরাজি আহওয়াজে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইরানের ওপর সাদ্দামের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের বার্ষিকীতে এ হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও সাম্রাজ্যবাদীরা আবারও নিজেদের ঘৃণ্য চেহারা সবার সামনে তুলে ধরেছে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে শত্রুরা মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়। কিন্তু তারা সফল হতে পারবে না।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মাদ ফয়সাল ইরানের সরকার ও জনগণের প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।