IQNA

বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতের মুসলিম নারীদের প্রতিবাদ

22:58 - December 17, 2019
সংবাদ: 2609852
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় নামার কারণে এক ছাত্রকে টেনে এনে বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এই হামলার হাত থেকে মুসলিম ছাত্রীরা তাদের বন্ধুকে রক্ষা করে ভারতের মুসলমানদের প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছেন তারা।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বন্ধুকে এভাবে পেটানো মেনে নিতে পারেননি ছাত্রীরা। সে সময় পুলিশের লাঠির ঘা থেকে বাঁচতে সরে যাননি তারা। বরং মারতে উদ্যত পুলিশের সামনেই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তারা। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীদের সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।

এই ছবিগুলি প্রকাশের পরে বিভিন্ন মিডিয়া এই ছাত্রীদের সাক্ষাত্কার নিয়েছে। ইতিহাসের ২২ বছরের ছাত্রী আয়েশা রায়না ভারতীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন: "আমরা এই সরকার, পুলিশ বা অন্য কাউকে ভয় পাই না"।

এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গতকাল জোর দিয়েছিল যে, ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে এবং প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কোনওভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতে চলছে বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন নয়াদিল্লীর জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। রবিবার রাতে ক্যাম্পাসের ভিতর ঢুকে জামিয়ার শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে।

ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায়, একজন ছাত্র ও বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে। পুলিশের লাঠি চালানোর মধ্যেই তারা একটি বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু একদল পুলিশ বাড়ির সামনে থেকে কলার ধরে বের করে আনেন ওই ছাত্রকে। তারপর মাটিতে ফেলে মারতে থাকেন লাঠির বাড়ি। সে সময় ওই ছাত্রীরা এসে ঘিরে ধরেন তাদের বন্ধুকে। পুলিশকে বিরত করতে উদ্যত হন। তাদের প্রতিরোধই ওই ছাত্রকে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করে। iqna

 

captcha