গত ৩ মে রোববার, ভ্যাটিকান এর অ্যাপোস্টলিক প্রাসাদের লাইব্রেরি থেকে ভ্যাটিকান মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের উদ্দেশে তিনি এ দুটি বিষয় তুলে ধরেন। এর আগে মুসলিম নেতারা ‘সকল ধর্মের বিশ্বাসীদেরকে ১৪ মে আধ্যাত্মিকভাবে একত্রিত হয়ে মানবজাতিকে করোনাভাইরাস মহামারী কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য ‘ঈশ্বরের কাছে দোয়া করতে ও রোজা রাখতে’ আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিস মুসলিম নেতাদের সেই আহ্বানের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করলেন। তিনি এই সঙ্কটে প্রতিক্রিয়া জানাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকেও উৎসাহিত করেছিলেন এবং একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টাকে ‘স্বচ্ছ ও অলাভজনক উপায়ে’ এবং এর জন্য ‘প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সর্বজনীনভাবে উপলভ্য’ করা উচিত বলে জানান, যাতে প্রতিটি সংক্রামিত ব্যক্তির পক্ষে এই সংকট চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা সম্ভব হয়। তার বক্তব্যে তিনি একযোগে দোয়ার বিষয়ে বলেন, ‘মনে রাখবেন, ১৪ মে, সমস্ত ধর্মের বিশ্বাসীরা একসাথে দোয়া করবেন, রোজা রাখবেন এবং সদকা দিবেন।’
বিশ্বব্যাপী এই প্রার্থনা দিবসের প্রস্তাবটি মূলত মানব ভ্রাতৃত্বের জন্য একটি উচ্চ কমিটির পক্ষ থেকে এসেছিল, পোপ ফ্রান্সিস এবং আল-আজহার মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েব স্বাক্ষরিত ঐক্যের একটি দৃঢ় প্রতিক্রিয়া হিসাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ‘ওয়ার্ল্ড পিস অ্যান্ড লিভিং টু লিভ টুগেদার’ নামের এই কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে পোপের সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
সূত্র:dailyinqilab