শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র ইমামগণের কবর যিয়ারতের জন্য হাদিসে বহু সুপারিশ করা হয়েছে। এবং এই যিয়ারাতের অনেক ফজিলতও বর্ণনা করা হয়েছে।
অনুরূপভাবে ইমাম রেজা(আ.)-এর যিয়ারতের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এমনকি ইমাম রেজার জন্মের বহুদিন পূর্বে রাসুল(সা.) তার যিয়ারাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস বলেছেন।
ইমাম বাকের(আ.) বলেছেন, রাসুল(সা.) বলেছেন: আমার শরীরে একটি অংশ তুস শহরে দাফন করা হবে, যে কোন সমস্যাগ্রস্ত মানুষ তার যিয়রাত করবে তার সকল আশাপূরণ হবে। আর সকল গোনাহগারদের গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।
আব্দুল আজিম হাসানি বলেন, ইমাম জাওয়াদের কাছে প্রশ্ন করলাম আপনার বাবার কবর যিয়ারত করব না ইমাম হুসাইনের যিয়ারত কর। ইমাম জাওয়াদ অশ্রুসিক্ত অবস্থায় বললেন, ইমাম হুসাইনের যিয়ারতকারী অনেক কিন্তু আমার বাবার যিয়ারতকারী কম।
ইমাম জাওয়াদ(আ.) আরও বলেছেন: যারা তুস শহরে আমার বাবার যিয়ারত করবে আল্লাহ তাদের সকল গোনাহ মাফ করে দিবেন।
ইমাম রেজা(আ.) নিজেই বলেছেন: আমার যিয়ারতের ফজিলত ১০০০ হজের থেকেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেছেন: শিয়াদেরকে বল তারা যেন কষ্ট করে হলেও আমার যিয়ারতে আসে কেননা আমি তাদেরকে তিনিটি স্থানে শাফায়াত করব। যখন তাদের হাতে আমল নামা দেয়া হবে, যখন পুল সিরাত পার হবে এবং যখন তাদের আমল পরিমাপ করা হবে।