ইরানের ব্যাপারে ইরাকের দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে মার্কিন অবস্থানের কথা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, আমেরিকার সঙ্গে ইরাকের সম্পর্কের ব্যাপারে ইরান কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু আমরা চাই ইরাকি কর্তৃপক্ষ আমেরিকাকে ভাল করে চিনে রাখুক। তাদের জেনে রাখা উচিত যেকোনো দেশে মার্কিন উপস্থিতি ওই অঞ্চলে দুর্নীতি ও ধ্বংসের মূল উৎস। পার্সটুডে
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য দুদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে তিনি এ অঞ্চলে আমেরিকার গোপন ও প্রকাশ্য লক্ষ্য উদ্দেশ্যের বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং অন্যদিকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সুযোগ সুবিধা ও সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে শত্রুর ষড়যন্ত্র মোকাবেলার উপায় বাতলে দেন।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেই ইরাকের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সিস্তানিকে ইরাকিদের জন্য বড় নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া, তিনি স্বেচ্ছাসেবী আধা সামরিক বাহিনী হাশদ আশ শাবিকেও ইরাকি জনগণের জন্য অনেক বড় নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করে এটাকে রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
২০০১ সালে আমেরিকা তাদেরই সৃষ্ট আল কায়দা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার অজুহাতে আফগানিস্তাসহ পশ্চিম এশিয়ায় ব্যাপক সেনা মোতায়েন করে। এরপর তারাই দায়েশ বা আইএস নামে নতুন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গড়ে তোলে। এখনো আমেরিকা নতুন নতুন ষড়যন্ত্র ও সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে যাতে এ অঞ্চলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ধ্বংসাত্মক কাজের ব্যাপারে জনমতকে বিভ্রান্ত করা যায়। সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য গত কয়েক বছরে আমেরিকা এমন কোনো অপরাধযজ্ঞ নেই যা তারা করেনি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আইআরজিসির কুদস ব্রিগেডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকের হাশদ আশ শাবির প্রধান আবু মাহদি আল মোহান্দেসকে হত্যার মার্কিন পদক্ষেপকে এ অঞ্চলে মার্কিন উপস্থিতির ফল বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইরান কখনোই এ বিষয়টি ভুলতে পারবে না এবং অবশ্যই আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত হানা হবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সর্বোচ্চ নেতার এসব বক্তব্য থেকে বোঝা যায় অভিন্ন নিরাপত্তা, আর্থ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং অভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসে অটল থাকা এই তিনটি নীতির ওপর ইরান ও ইরাকের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত। iqna